স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সৌদি আরবের সহযোগিতা কামনা করেছেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ হতে আরো অধিক সংখ্যক দক্ষ কর্মী সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
পাশাপাশি মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সৌদি শুরা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সোমবার সংসদ ভবনস্থ স্পিকারের কার্যালয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব অনুরোধ জানান।
সাক্ষাতকালে উভয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, কোভিডকালীন উদ্ভূত বৈশ্বিক পরিস্থিতি, অভিবাসন ইস্যু, সংসদীয় সম্পর্কের উন্নয়ন, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দু’দেশের সংসদ সদস্যদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সংসদীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করা সম্ভব।
তিনি দক্ষ কর্মী সৌদি আরবে পাঠাতে বাংলাদেশ যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ‘মানবতার মা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সকলের জন্য করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিতকরণেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে কোভিড পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্যাভাব পরিলক্ষিত হয়নি।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রণোদনা ঘোষণার মাধ্যমে সময়োপযোগী কার্যক্রম প্রহণ করেছেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান কোভিডকালীন সময়ে সরকারের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
একত্রে কাজ করার জন্য দু’দেশের মধ্যে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ তৈরি করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে দু’দেশের সংসদীয় সম্পর্কের অধিকতর উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।