এবারের জাতীয় বাজেটে পঞ্চম ধাপে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা আরও তিন হাজার টাকা করে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকায় উন্নীত করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আগামী অর্থবছরের (২০২০-২১) বাজেটে অতিরিক্ত প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া দুই ঈদে দুটি উৎসব ভাতা, বিজয় দিবস ভাতা ও নববর্ষ ভাতা পাবেন তাঁরা।
মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চার হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। তবে এবার সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত ভাতাসহ অন্যান্য বিষয়ে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল ১১ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের কথা রয়েছে।
এপ্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা যাতে সম্মানজনকভাবে জীবনধারণ করতে পারেন সে জন্য মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই আন্তরিক। ভবিষ্যতেও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলছেন, মুক্তিযোদ্ধারা বয়সের ভাড়ে ন্যুব্জ। অধিকাংশই নানা রোগে ভুগছেন। তাই তাদের ভাতা ২০ হাজার টাকা হওয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ওষুধের পেছনেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। কারণ তারা সবাই বয়সের কারণে নানা রোগ-শোকে ভুগছেন।
তাই সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ভাতা বাড়ানো উচিত।
দেশে এখন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৩৮ হাজার। ভাতা পাচ্ছেন ২ লাখ ১১ হাজার জন।