অবশেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হলো কয়লাভিত্তিক পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে। এর মধ্য দিয়ে দেশের অন্যতম বড় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে এলো।
এতে জাতীয় গ্রিডে যোগ হলো আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উৎপাদনে যাওয়ার আগে সফলভাবে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)-এর প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে এটি অনেক বড় একটি সুখবর। তিনি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিসিপিসিএল-এর কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ শেষ করতে পেরেছি। এতেই প্রমাণিত হয় উন্নয়নের গতিধারা থেমে নেই।
সরকার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি পোর্ট অ্যান্ড ইম্পোর্ট কোম্পানি- সিএমসি যৌথ মালিকানায় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার পায়রাতে দু’টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রতিটি কেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াট করে উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। যার একটি উৎপাদন শুরু করলো।।সব মিলিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে।
এ কেন্দ্রটি আমদানি করা কয়লা দিয়ে চলবে। আগামী মাসে দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে। এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রথমে যাবে গোপালগঞ্জে। তারপর সেখান থেকে দেশের অন্যান্য জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র।।উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে।