বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জনিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সচেতন কিশোরী, সচেতন অভিভাবক, সচেতন সমাজ ও সচেতন শিক্ষক-শিক্ষিকা সবার সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মঙ্গলবার পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমাদের অ্যাম্বাসেডর, আমাদের কন্যারত্ন’ মডেল আয়োজিত প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অনলাইন সচেতনতা ক্যাম্পেইন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য মো. মাজহারুল হক প্রধান, ইউএনএফপিএ’র কান্ট্রি রি-প্রেজেন্টেটিভ ড. আশা টর্কেলসন, পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাবিহা কবীর, মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা উষা প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রজীবনই শিক্ষাগ্রহণের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। নিজেদের গড়ে তোলার মাধ্যমে সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে মেয়েদের।
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খোলা। কন্যাশিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, অনুকূল ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকারকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে সন্নিবেশিত করে গেছেন।
তিনি নারী-পুরুষকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করে গেছেন। তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কন্যারত্নদের জন্য কাজ করা অত্যন্ত গৌরবের।
এক্ষেত্রে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ মডেলটি কন্যারত্নদের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।