শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকার কোনো বৈষম্য করছে না। বিএনপি যখন ক্ষমতায়, গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ পেতাম না।
জেনারেটর অথবা হারিকেন জ্বালিয়ে কাজ করতে হতো। এই ছিল অবস্থা! আমরা ক্ষমতায় আসার পর এমন কোনো বৈষম্য করিনি। যে কারণে বগুড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র করে দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিদ্যুৎ বিভাগের বেশকিছু প্রকল্প উদ্বোধনের সময় অনেকটা আক্ষেপের সুরেই এ কথা বলেন তিনি।
সরকার বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে। তিনি মানুষকে বিদ্যুতের অপচয় না করার জন্য আবারো আহ্বান জানান।
বিদ্যুৎ উৎপাদনেই একটি মোটা অংকের অর্থ ব্যয় হয়। আমরা এখন এলএনজি আমদানি করছি এবং এখনও বিদ্যুৎ খাতে বিরাট অংকের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সবাইকে এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে সরকারের পক্ষে সব সময় এই বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া সম্ভব নয়।
আমরা ইতোমধ্যেই দেশের শতকরা ৯৭.৫ ভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি এবং আশা করছি ২০২১ সাল নাগাদ আমরা দেশের সব মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষে তাঁর সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আমরা অধিকতর শিল্পায়নের লক্ষে সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি আর এভাবে আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছি। এজন্য বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ স্থাপন করেছে। দেশে যত বেশি আইসিটি ব্যবহার বাড়বে, বিদ্যুতের চাহিদাও ততই বৃদ্ধি পাবে।
বিগত ১১ বছর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।