স’শস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন করতে আমরা গড়ে তুলার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা প্রশিক্ষণ, যেকোনো ফোর্সের জন্য দরকার প্রশিক্ষণ। আমরা চাই বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাক। আজকে আমরা অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছি।
আমাদের বাজেট প্রায় সাত গুণ বৃদ্ধি করেছি। আমার উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থ দিয়ে তেরি করি। কারো কাছে হাত পাততে হয়না। আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। বিজয়ী জাতি কারো কাছে হাত পাতে না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শক্তিশালী স’শস্ত্র বাহিনী গড়তে সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীকে একযোগে আধুনিক ও শক্তিশালী করা হবে। তিনি বলেন, কারো দ্বারস্থ না হয়ে বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ পরিদর্শন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মহড়ায় বীরত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে কল্পিত শ’ত্রুর দ্বারা দখল হয়ে যাওয়া স্বর্ণদ্বীপ উদ্ধারে সফল অভি’যান চালায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
মহড়ায় দেখানো হয়, স্বর্ণদ্বীপ দখল করেছে শত্রুপক্ষ। তাই এ আ’ক্রমণ। ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্ব শুরু হওয়া এ অভি’যানের শুরুতেই পর্যবেক্ষণ ও শত্রুদের দখলকৃত এলাকা রেকি করে সহায়তা করে বিমানবাহিনীর এভিয়েশন গ্রুপ। আচমকা শ’ত্রু এলাকায় ঢুকে পড়ে প্যারাট্রুপাররা। একযোগে শুরু হয় আর্টিলারি কামান ও স্বয়ংক্রিয় গ্রে’নেড লঞ্চার হা’মলা। সক্রিয় হয়ে ওঠে অ’স্ত্রের অবস্থান নির্দেশক রাডা’র ও ট্যাং’ক বি’ধ্বংসী অ’স্ত্র।
পাল্টা আ’ক্রমণে যায় শ’ত্রুপক্ষ। কিন্তু সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত আ’ক্রমণে এক পর্যায়ে পর্যুদস্ত হয় তারা। স্বাধীন ভূখণ্ডের দ’খলকৃত অংশে আবারও পতপত করে ওড়ে স্বাধীন সার্বভৌম পতাকা। দর্শক সারিতে বসে সামরিক বাহিনীর নৈপুণ্য দেখেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সব বাহিনীর আধুনিকায়নে বদ্ধপরিকর সরকার।