নদীর বুকে জেগে ওঠা চর। সেই চরে যাতায়াত করাই যেখানে কষ্টসাধ্য, সেখানে বিদ্যুতের আলো পৌঁছাবে- এমনটা ভাবা ছিল অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্নই বাস্তবে দেখছে পদ্মানদীবেষ্টিত নওপাড়া, চরআত্রা ও কাঁচিকাটা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে তারা পাচ্ছে এ বিদ্যুৎ। এজন্য শরীয়তপুরের তিন ইউনিয়নের ৭২ হাজার মানুষের মনে বইছে আনন্দের জোয়ার।
গত সংসদ নির্বাচনে একেএম এনামুল হক শামীম ওই চরগুলোতে নির্বাচনী গণসংযোগে গেলে স্থানীয়রা তার কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার দাবি তোলেন। তখন শামীম নির্বাচিত হতে পারলে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে সংসদ নির্বাচনের পর এনামুল হক শামীম ওই তিন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার বিষয়ে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন। এ সময় সিদ্ধান্ত হয় মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।
শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে এনামুল হক শামীম সভা করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদী দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেয়া হবে দুর্গম চরে। পরে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওই তিনটি ইউনিয়নের কার্যক্রম মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে হস্তান্তর করা হয়। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে এ বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদনের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
সেই কাজের ফল পেতে চলছে নওপাড়া, চরআত্রা ও কাঁচিকাটা ইউনিয়নের পরিবারগুলো। তাই তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৭২ হাজার মানুষ ভাসছে আনন্দের জোয়ার।