করোনাভাইরাসের সময় কত কথাই তো বিএনপি নেতারা বলেছে। এমনকি টিকা নিয়েও তো কত কটূক্তি করেছে। কিন্তু সেই টিকা তো তাদের নিতে হলো। বিনা পয়সার টিকা তো বিএনপির নেতারা সবাই নিয়েছে। কিন্তু তার আগে তাদের কথাগুলি কি ছিল?
সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সভায় তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণের পাশে আমরা আছি। আর জনগণের কল্যাণ করাই আমাদের লক্ষ্য। মুজিববর্ষে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষের একটা ঠিকানা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল, মাত্র ১২ বছরের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে সেই উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। এটা বোধহয় তাদের একটুও পছন্দ না।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সফল হোক, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সফল হোক, বাংলাদেশের মানুষ পেটভরে ভাত খাবে, সুন্দর জীবন পাবে, উন্নত জীবন পাবে, বাংলাদেশের মানুষ উন্নত হবে, এটা তো তাদের পছন্দ না। তাদের কাছে ক্ষমতা ছিল ভোগের বস্তু।
হাজার হাজার কোটি টাকা বানিয়েছে এবং বিলাস ব্যসনে জীবন ভাসিয়েছে। কাজেই তারা এ দেশের মানুষের কষ্ট-দুঃখ বুঝবে কিভাবে? ইতিহাসকে তারা বিকৃতি করেছে তাদের স্বার্থে।
আমি আমার নেতাকর্মীদের বলব, ওরা কী বলল, এটা নিয়ে আমাদের কথা বলার দরকার নাই বা ওটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করারও কিছু নেই। আমরা জনগণের পাশে আছি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা ৭ই মার্চের ভাষণ ছোট করতে চায়, বিএনপির কয়েকজন নেতা, সাবেক ছাত্রলীগও আছে। তারা নাকি এ ভাষণে স্বাধীনতার কোনো ঘোষণাও পাননি। এরা পাবেন না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীও পায়নি। এরা পাকিস্তানি হানাদারদের পদলেহনকারী, খোশামোদি, তোষামোদকারী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।