আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠান থেকে মোবাইল অ্যাপটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’ (Biman Bangladesh Airlines) নামে এই অ্যাপটি উদ্বোধনের পর মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটলে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেন বিমানের এমডি মোকাব্বির হোসেন। আগামী এক বছর পর্যন্ত অ্যাপে বিমানের টিকিট কাটলে এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করে যাত্রীরা নিজের মোবাইল থেকেই বিমানের সব গন্তব্যের টিকিট কিনতে পারবেন। বিকাশ বা রকেট অথবা যেকোনো কার্ডের মাধ্যমে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা ফ্লাইট সম্পর্কিত সব তথ্য, ফ্লাইট স্ট্যাটাস, ফ্লাইট শিডিউল, সেলস সেন্টারগুলোর ঠিকানা, অনলাইন টিকিট ও রিফান্ড হেল্পডেস্ক, এবং টিকিট বুকিং, সিট নির্ধারণসহ সবকিছু করতে ও জানতে পারবেন।
গুগল প্লে-স্টোর অথবা অ্যাপল অ্যাপ-স্টোর থেকে যেকোনো স্মার্টফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।
এর আগে বিমানের জন্য নতুন কেনা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ সিরিজের নতুন দুটি উড়োজাহাজ ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজে আরোহণ করেন এবং ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
প্রায় একই সময়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে প্রায় ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে। তিন তলাবিশিষ্ট এ টার্মিনাল ভবনের আয়তন হবে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার, লম্বা ৭০০ মিটার এবং চওড়ায় ২০০ মিটার। এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং—এই তিনটি প্রতিষ্ঠান শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণে কাজ করছে। বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করে বিশ্ব দরবারে খ্যাতি কুড়ানো স্থপতি রোহানি বাহারিন এর নকশা করেছেন। এ টার্মিনাল নির্মাণ হলে বছরে ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।