বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও গৃহকর্মী ফাতেমা সহ আজ বিকেল ৪ঃ১২ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল হতে গুলশানের নিজ বাসভাবন ফিরোজায় ফিরে গেলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন। দুই বছরেরও বেশি সময় কারাভোগের পর আম মুক্তি পেলেন বেগম জিয়া। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় এবং মানবিক কারণে তার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সরকার প্রধান এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১/১ ধারা মতে”ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে এবং এই সময় বিদেশে গমন না করার শর্তে তাঁকে সরকারের নির্বাহী আাদেশে তা্র ভাই শামিম ইস্কান্দারের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম সরকারের নির্বাহী আদেশে কোন দন্ডপ্রাপ্তের দন্ড স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হলো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী গতকাল বলেছেন,”মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে, আইনি প্রক্রিয়ায় এই দুই শর্তসাপেক্ষে তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।”
গতকাল আইনমন্ত্রী বলেছেন, ”বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায়, মানবিক কারণে, সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
উল্লেখ্য,২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়। দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়।তবে পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।