মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য, ইতিহাসকে বিভিন্নভাবে বিকৃত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তাদের মতো করে ইতিহাস রচনা করছে।
পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর যারা স্বাধীন বাংলার জন্য লড়াই করেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন তারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার যেন ফিরে পায় সেজন্যই ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছেন। তারা এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ভাতের অধিকার নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই এদেশকে স্বাধীন করেছেন। তারা আজকের এ বাংলাদেশকে দেখতে চাননি। তারা দেখতে চেয়েছেন এমন একটি দেশ যে দেশে মানুষ তাদের সব অধিকার ফিরে পাবে এবং সুখে শান্তিতে বসবাস করবে।
শাজাহান সিরাজকে শুধু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাকে স্বাধনীতার ইশতেহার পাঠক ও স্বাধীনতার নায়ক হিসেবে দেখতে চাই। সেভাবেই দেশের মানুষ তাকে দেখেছেন। তিনি জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য লড়াই করেছেন। তার সারাটা জীবনই এ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে।
জহির উদ্দিন স্বপনের সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দীন আহমদ, নূরে আলম সিদ্দিকী, আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনআরসি) আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সদস্য প্রয়াত স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ স্মরণে এর আয়োজন করা হয়।