চলমান মহামারি দেখিয়েছে উন্নত এবং উন্নয়নশীল উভয় দেশেই জাতিসংঘকে আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন- এমনটি উল্লেখ করে জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তিতে আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি আমাদের দেখিয়েছে যে বহুপাক্ষিকতা হলো এগিয়ে যাওয়ার পথ।
জাতিসংঘের ৭৫তম বার্ষিকীকে স্মরণীয় একটি উপলক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের কারণে এই বছরটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে দেয়া বাংলা বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য থেকে উদ্ধৃত করেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ভবিষ্যতের জন্য মানুষের আশা-কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে জাতিসংঘ।
আর এই বক্তব্যকে জাতিসংঘ এবং বহুপক্ষীয়তার প্রতি বাংলাদেশের আস্থার প্রকাশ বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
নিউইয়র্ক সময় সোমবার বিকেলে দেয়া ভাষণে উন্নয়নে জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশও অনেকভাবে উপকৃত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বর্তমানে শান্তিরক্ষী প্রেরণের দিক থেকে বাংলাদেশ সবার উপরে।শান্তি রক্ষা মিশনে কাজ করতে গিয়ে সংঘাতে জীবন দেয়া বাংলাদেশি ১৫০ সেনার অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক মহামারিসহ নানা সমস্যা রয়েছে, সেগুলোর কোন সীমানা নেই। ২০৩০ সালের বিভিন্ন এজেন্ডা অর্জনের লক্ষমাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে কভিড ১৯। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কার্যক্রমকে সীমিত করে এনেছে এই মহামারি।
কোন ভূ-রাজনৈতিক কারণে জাতিসংঘকে আমরা দূর্বল হতে দিতে পারি না”ৱ।
শতবর্ষকে সামনে রেখে সমগ্র মানবজাতির জন্য জাতিসংঘকে সত্যিকারের কার্যকর বিশ্ব সংস্থা হিসাবে গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।