স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের অবদান স্মরণে বাংলাদেশ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা বলেছেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলেন দু’জন আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকার এবং জনগণের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পরীক্ষিত। দু’দেশের সম্পর্ক অবনতি করার জন্য কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালায়। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এত হালকা নয়। গত কয়েক বছরে দু’দেশের মধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। ছিটমহল সমস্যা, সমুদ্র সীমানা বিরোধ সমাধান হয়েছে। দু’দেশ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ণ উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখিত বইয়ের হিন্দিতে অনুবাদ করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণের আনন্দের অংশীদার হতে ভারত ইচ্ছুক বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী শ্রীমতি গাঙ্গুলীর ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পরবর্তী পদায়নের জন্য অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানান। তার বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্বকালীন দু’দেশের সুসম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।