রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভারতের গবেষণাগারের ‘ব্যাং, বিড়াল, তেলাপোকায়’ পরিণত হয়েছে।
ভারত তিস্তার পানি তো দেয় না, কিন্তু উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দিলো। এই দরদ উতলে উঠার কারণ কী? ভারত মূলত বাংলাদেশের মানুষদের ওপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালাতে চায়।
বাংলাদেশের সরকার ভারতকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। কারণ ভোটারবিহীন বর্তমান মিডনাইট সরকারের দেশের মানুষের বাঁচা-মরা নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই।
সোমবার রাজধানীর তেজঁগাও অঞ্চলের ২৬ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে ১৯ জানুয়ারি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত থেকে যে টিকা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানোর জন্য এসেছে। ওরা (ভারত) দেখবে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে মানুষ বাঁচে, না মরে, না অসুস্থ হয়।
তারপরে ভিআইপিরা নেবে। তারপরে ভারত নেবে। ভারত বলছে, তারা মার্চে এটা ট্রায়াল করবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স বলেছে, ভারত যে টিকা বাংলাদেশকে দিচ্ছে এটা ট্রায়ালের জন্য দিচ্ছে।
রিজভী আরো বলেন, সুস্থ নির্বাচনকে একেবারে পরপারে পাঠিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। আর এ কারণে যারা আজ জনপ্রতিনিধি হওয়ার কথা তারা জনপ্রতিনিধি নয়। যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, যারা জনগণের শত্রু, তারাই প্রতিনিধিত্ব করছে।
কেউ চেয়ারম্যান হচ্ছে, কেউ এমপি হচ্ছে, কেউ টাকা পাচার করছে, কেউবা ক্যাসিনো বাণিজ্য করছে। এসব আমার কথা না, সংবাদমাধ্যমের কথা।
সরকার আরেকটি ভানুমতির খেল দেখাচ্ছে। সেটা হচ্ছে ভ্যাকসিন নিয়ে। ২০ লক্ষ লোককে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেবে। ভারত থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছে।
ভারতের হাই কমিশন বলছে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই ভারতের বড় বন্ধু। অন্য কেউ না। যারা একটি দেশের একটি রাজনৈতিক দলকে বন্ধু মনে করে, তাদের দেয়া ভ্যাকসিন যদি দেশের জনগণ নেয় তাহলে মানুষ বাঁচবে কি বাঁচবে না, সেই গ্যারান্টি নাই।
রিজভী বলেন, সরকার বারবার বলছে ভ্যাকসিন ভিআইপিদের আগে দেওয়া হবে না। আগে দেওয়া হবে সাধারণ জনগণকে।
প্রশ্ন হলো, ভিআইপিদের আগে দেয়া হবে না কেন? আগে ভিআইপিদের দেন, তারা সুস্থ থাকুক, তারপর দেশের জনগণকে দেন।
কিন্তু এখানেই রহস্য, সরকার সাধারণ জনগণকে আগে ভ্যাকসিন দিয়ে এর কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করতে চায়। কারণ, দেশের মানুষের বাঁচা-মরা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যাথা নেই।
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী প্রমুখ।