রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস বঙ্গভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির ফলে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন একথা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কলকাতা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নৌপথে পণ্য পরিবহনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে দু’দেশ বহুমাত্রিক যোগাযোগ সম্প্রসারিত করবে এবং সহযোগিতার প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হবে।
ভারত-বাংলাদেশ নিকটতম প্রতিবেশী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যার যাত্রা শুরু, বর্তমানে তা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। রাষ্ট্রপতি করোনাকালে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও মানবিক সহযোগিতার জন্য ভারতের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
বিদায়ী হাই কমিশনার বলেন, ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সবসময় গুরুত্ব দেয়। করোনাকালে বাংলাদেশের সাথে নৌ ও রেলপথে পণ্য পরিবহনে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে যা বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিদায়ী হাই কমিশনার দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।