গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন একটা ভ্যাকসিন রিসার্চ করা হবে তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এত মাথাব্যথা কেন?
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটা ভ্যাকসিন রিসার্চ করা হবে তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এত মাথাব্যথা কেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভূতের প্রবেশ ঘটেছে, চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে। ঠিক যেভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্তর্জাতিক ঔষধ কোম্পানিগুলো, পুঁজিবাদের ধারকরা তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠরোধ করে রেখেছে। আইসিডিডিআরবি ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষে অতীতেও গবেষণা করেছে, কই তখন তো কোনো আপত্তি তোলা হয় নাই।
আজকে কেন এখানে আপত্তি? এখন আপত্তির কারণ এখানে ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে। এর সঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা জড়িত। চীনের এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যদি সফল হয়, তাহলে আমাদের অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে।
গবেষণা অনেক সময়সাপেক্ষ একটা বিষয়। অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে গবেষণা একবার সফল হলে ভ্যাকসিনের উৎপাদন মূল্য অনেক কম হয় বলে মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
আজকে আমাদের উচিৎ হবে চীনের এই ভ্যাকসিন গবেষণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা। ভ্যাকসিন গবেষণায় চীনের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি থাকতে পারে, ভ্যাকসিনের সফলতায় শতকরা ৫০ ভাগের মালিক হবো আমরা।
এই চক্রান্তের বিষয়ে আমাদের অনেকগবেষণা ও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আমি আশা করি আপনারা এই বিষয়টা ব্যাপকভাবে আলোচনা করবেন। আজকে আমাদের এই আন্তর্জাতিক চক্রান্তকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
ভ্যাকসিন গবেষণা করার জন্য সম্মতি দেওয়ার মালিক বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। তারা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে। হঠাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটা বন্ধ করে দিয়েছে, এতে প্রমাণ হয় চক্রান্তে এদের অংশগ্রহণ রয়েছে’ মন্তব্য ডা. জাফরুল্লাহর।