প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সাতক্ষীরা এবং খুলনার কয়রা এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে টেকসই বেড়ি বাঁধের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটি একনেকে অনুমোদন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এই এলাকায় স্থায়ী বেড়ি বাঁধের কাজ শুরু হবে।
শুক্রবার আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগর ও খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আম্পানের পর এই এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখেছি। আগামীতে যাতে আর কোনো ক্ষয় ক্ষতি না হয় সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি। ১২টি পয়েন্টে সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।
অধিকাংশ জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ সম্পন্ন করেছে। ১২টি প্রকল্পে সেনাবাহিনীকে ৭৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে একটু দেরী হলেও ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধ সংস্কার করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা অনেকটা লাঘব হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বেড়িবাঁধ দিতে গিয়ে যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ভ্যাকসিনে কোনো ভয় নেই। অনেকে গুজব ছড়াচ্ছে। ৭ তারিখ থেকে ভ্যাকসিনের দেওয়া হবে। এটা দিলে সবাই সুরক্ষা থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন। মাক্স ছাড়া চলা যাবে না। দেশ সমৃদ্ধশালী হবে সেটা দেখতে হলে বেঁচে থাকতে হবে।
এ সময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সাংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (পরিকল্পনা) ড. মো মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের প্রমুখ।
বিকালে তিনি শ্যামনগরের দাতিনাখালী, লেবুবুনিয়া, কয়রার গোলখালী, বেদকাশী, হরিণখোলা ভাঙন এলাকার পরিদর্শন করেন।