দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের প্রথম দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, বিপিএম-বার।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডিএমপি কমিশনারের ভ্যাকসিন নেওয়ার মধ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে এ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
কমিশনার ভ্যাকসিন গ্রহণের পর ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণপদ রায় বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার) করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
ভ্যাকসিন গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই মাঠে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন পুলিশ সদস্যরা। ডিএমপির ২৭ জন পুলিশ সদস্য করোনা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করছেন।
সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ অগ্রাধিকার হিসেবে এ ভ্যাকসিন পাচ্ছে। করোনার ভ্যাকসিন নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে এটা ভ্রান্ত ধারণা। ফোর্সদের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যেন কোনো প্রকার সংশয় সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমরাই প্রথমে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের পর কোনো অসুবিধা বোধ করছি না। এটা একটা মানসিক বিষয়। আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে এটি অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতোই স্বাভাবিক। আমি সকলকে অনুরোধ করবো ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য।
আমাদের পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন প্রদানের বুথ রয়েছে যেখানে গড়ে প্রতিদিন চারশত পুলিশ সদস্যকে ভ্যাকসিন প্রদান করা সম্ভব। আমরা আমাদের কোনো সদস্যকে ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করছি না।
শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে কমিশনার বলেন, সারা বিশ্বে মাত্র ২০ থেকে ২২টি দেশ করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে। শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় আজকে আমরা আগাম এ ভ্যাকসিন নিতে পারছি।