জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার গত বছরের একই সময়ের থেকে ১২ শতাংশ কমেছে।
গতবছর এই সময়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৫৮ শতাংশ হলেও এ বছর তা ৪৬ শতাংশ।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিদ্যমান অগ্রগতি ৪৬ শতাংশ। যা গত বছর একই সময়ে ছিলে ৫৮ শতাংশ।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার কিছুটা ধীর হলেও আশাব্যঞ্জক বলে জানান।
বর্তমান সরকারের সময়ে গত বছরের জানুয়ারি থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪২৭টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে ৩৫৪টি।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৮২ দশমিক ৯০ শতাংশ। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ৭৩টি।
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে। আর গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৩টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে।
২০১৯ সালে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২৫৮টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৩৮টি বাস্তবায়ন হয়েছে, বাস্তবায়নের হার ৯২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ১৬৯টি সিদ্ধান্ত হয়। এরমধ্যে ১১৬টির বাস্তবায়ন হয়েছে, বাস্তবায়নের হার ৬৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই সমময়ে জারিকৃত আইনের সংখ্যা ৩৭টি, প্রক্রিয়াধীন আইনের সংখ্যা ৩৩টি, নীতি/নীতিমালা/কর্মকৌশল/কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১৭টি, দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক চুক্তিপ্রটোকল অনুমোদন/অনুসমর্থন (৫টি স্বাক্ষরিত/অনুসমর্থিত হয়েছে) ১৯টি। আর মন্ত্রিসভার জন্য উপস্থাপিত সারসংক্ষেপ ২৯৩টি। বাস্তবায়নাধীন ৭৩টি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন-কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগে চলমান আছে।
তিনি বলেন, পুরো কেবিনেট (ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন নিয়ে) সন্তোষ প্রকাশ করেছে, যদিও গত বছরের তুলানায় (বাস্তবায়ন) একটু কম আছে।
সেক্ষেত্রে বাস্তব অবস্থা তো সবাই বুঝতে পেরেছে। নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কভিড-১৯ এর জন্য যে ব্যাকলক ছিল সেটা যেন খুব কুইকলি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রিকভার করতে পারি।