মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বব্যাপী শ্রমবাজার হুমকির মুখে। অন্যতম কর্মী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তার পরও আমরা আশাবাদী। রাতের পর দিন আসে এবং ওই দিনটি খুব শিগগিরই আসবে।
বুধবার দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ বিধিতে বিবৃতি প্রদানকালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষ শ্রমশক্তি প্রস্তুত রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে এবং বাজার খোলার সাথে সাথে ওদেরকে বিদেশে পাঠাতে পারি।
এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। যদি কভিড-১৯ পরবর্তী বাজারের সঙ্গে সঙ্গিতপূর্ণ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারি, তাহলে আমাদের বৈদেশিক প্রবাসী আয় প্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
শ্রমবাজার নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা ধরনের সংবাদ পরিবেশিত হওয়ায় এই সম্পর্কিত বিভ্রান্তি দূর করতে এবং শ্রমবাজারের সবশেষ তথ্য তুলে ধরতে এই বিবৃতি।
সবশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতিমাসে ৬০ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে।
২০১৯ জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত চার লাখ ৬০ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে। কিন্তু ২০২০ জানুয়ারি হতে আগস্ট পর্যন্ত বিদেশে গেছে মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার কর্মী। এর কারণ এবছর এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোনো কর্মী বিদেশে যেতে পারেননি বলেই চলে।
অন্যদিকে করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের অভিবাসন সেক্টরের টাকা অনিয়মিত হওয়ায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কারণে আমাদের কর্মীদের একটি ক্ষুদ্র অংশ দেশে ফিরে এসেছে।
১ এপ্রিল থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ১১ হাজার ১১১ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। তাঁদের অনেকে কাজের মেয়াদ শেষে বা কাজ না থাকায় দেশে ফেরত এসেছেন। যদিও আশঙ্কা করা হয়েছিল অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনার প্রভাবে প্রধান কর্মী নিয়োগকারী দেশসমূহের শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হবে, হওয়ার কারণে অনেক বিদেশি কর্মী বেকার হয়ে পড়বেন।
আশার কথা এই যে, এখন পর্যন্ত ফেরত আসা কর্মীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠেনি। এক্ষেত্রে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে মিশন ও দূতাবাসে একযোগে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার কারণে এই অবস্থা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, যেসকল কর্মী ফেরত এসেছেন বা আসবেন তাদের অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসন এবং পুনরায় কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
করোনা সংকট মোকাবেলায় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের ১৩ কোটি টাকা জরুরি ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া বিপদগ্রস্ত কর্মীদের দেশে আনা এবং বিদেশফেরত কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য এবং কর্ম সময়পযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের অথবা মৃত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিজ জেলা থেকে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ শর্তে মাত্র ৪ শতাংশ সরল সুদে পাঁচ বছর মেয়াদি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হচ্ছে।
বিদেশ ফেরত কর্মীদের ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আরো ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া বিদেশ ফেরত কর্মীদের সামগ্রিক কল্যাণ ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৪২৫ কোটি টাকার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment