কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হওয়া একাদশ সংসদের নবম অধিবেশন মাত্র ৫ কার্যদিবসে শেষ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত আগের দুটি অধিবেশনের মতোই সংসদ সদস্যরা মাস্ক ও গ্লাভস পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন।
অধিবেশন কক্ষে কর্মরত কর্মচারীরাও একইভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করার আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, এই অধিবেশনে ৬টি বিল পাস হয়েছে। আর দুটি বিল উত্থাপন হয়। এ ছাড়া একটি বিল প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অধিবেশনের জন্য ৭১ বিধিতে ৩৮টি নোটিশ পাওয়া যায়। তবে কোনো নোটিশ নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য ২৭টি প্রশ্ন পাওয়া যায়।
যার মধ্যে তিনি সাতটি প্রশ্নের উত্তর দেন। অন্য মন্ত্রীদের জন্য ৬৬১টি প্রশ্ন পাওয়া যায় যার মধ্যে ১৮২টির উত্তর দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হওয়ার পর এটি তৃতীয় অধিবেশন। গত বাজেট অধিবেশনের মতো এবারও অধিবেশনে যোগ দিতে সংসদ সদস্যদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া হয়। তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব মেনে অধিবেশন কক্ষে বসানো হয়।
অধিবেশনে এমপিদের উপস্থিতি ৮০-৯০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। সংসদে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ ছিল বন্ধ। সংসদ অধিবেশন চলাকালে দায়িত্বরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়।
সংবিধানের বিধান মতে সংসদের দুটি অধিবেশনের মধ্যে ৬০ দিনের বেশি বিরতি থাকার সুযোগ নেই। যে কারণে এই অধিবেশন ডাকতে হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ১৯ অগাস্ট নবম অধিবেশন আহ্বান করেন। সংসদের বিগত অষ্টম অধিবেশন গত ৯ জুলাই শেষ হয়।