দেশের মানুষ স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পেলেই কেবল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে আইনের শাসন এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আপিল বিভাগের চারজন এবং হাইকোর্ট বিভাগের ২৮ জন বিচারপতি বক্তব্য দেন।
শোক দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন বিষয়ক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জাজেস কমিটি।
১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সভা শেষে দাঁড়িয়ে ২ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব, যাকে কোনো বিশেষণে বিশেষায়িত করা যাবে না। ভাষা আন্দোলন, বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফা আন্দোলন, স্বাধীনতাসংগ্রাম, মুক্তিসংগ্রাম, জয় বাংলা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙালির স্বাধিকার, বাঙালির স্বাধীনতা, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- যা-ই বলি না কেন, এ শব্দগুলোর অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই মহান নেতা আমাদের জাতীয় জীবনে এক জ্যোতির্ময় আলোকবর্তিকা।
১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া তাঁর পরিবারের সদস্যসহ সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদে পবিত্র কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি বলেই তাঁর জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কেটেছে। আদর্শ এবং মূল্যবোধ থেকে তিনি এক পা-ও পিছু হটেননি। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষদিন পর্যন্ত প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন।
বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের কথা শুধু ১৯৭২ সালের সংবিধানেই বলেননি, তারও আগে ১৯৫৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদে আইনসভার সদস্য হিসেবে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের জোর দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি আমাদের একটি সংবিধান উপহার দেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং চেতনাকে লালন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ অঙ্গীকারবদ্ধ। তাঁরা আলোচনায় ন্যায়বিচার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।
বিচার বিভাগ ইতিহাসের এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সভাপতিত্বে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকেও বিশেষ ভার্চুয়াল আলোচনাসভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।