মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সর্বসাধারণের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রাজধানীর জনবহুল চারটি স্পট শাহবাগ, ফার্মগেট, সিটি কলেজ জিগাতলা ও মিরপুর ও এর আশেপাশের এলাকায় একযোগে এ অভিযান শুরু হয়।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক পরিধান করছেন। তবে একটা বড় অংশ এখনো মাস্কের ব্যাপারে উদাসীন।
এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হলে অনেকেই বিভিন্ন অযুহাত দিয়ে বাঁচতে চাইছেন। তবে, ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানাসহ মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করছেন। পাশাপাশি তাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করছেন।
ফার্মগেট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে।
প্রত্যেকের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
ফার্মগেটের মতো জনবহুল একটা এলাকায় বেশিরভাগ মানুষকে মাস্ক পরিধান করতে দেখা গেছে। তবে অনেকেই এখনো এ ব্যপারে উদাসীন।
কারো কারো সঙ্গে মাস্ক আছে, কিন্তু পরছেন না। সবাইকে সচেতন করার জন্য এবং যারা মাস্ক পরছেন না তাদের সংশোধনের জন্য বিভিন্ন পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান রয়েছে, অভিযান শেষে মোট জরিমানার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
মিরপুর দারুস সালাম এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়ে র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচানার পাশাপাশি দরিদ্র শ্রেণির জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।