মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে দেশের গণমাধ্যমসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তারই স্বীকৃতিস্বরূপ পরিশ্রমী, সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ও নির্মাতাদের ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক’ প্রদানের ব্যবস্থা করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-যা সত্যিই অনন্য।
মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সেমিনার কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
জুরি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।
দৈনিক সংবাদের আমৃত্যু সম্পাদক বজলুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সফল সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিকালে “মুক্তিযুদ্ধ” নামে বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এজন্য তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের করতে ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক’ প্রচলনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যথার্থ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় যারা কাজ করছেন তারা জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
করোনা সংকটের সময়েও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সক্রিয় থাকায় এবং ২০১৯ সালের পদক প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরকে তিনি অভিনন্দন জানান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্ট এবং জুরি বোর্ডের সদস্য দেশবরেণ্য সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।