শুক্রবার ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে র্যাবের একটি দল তাদেরকে নিয়ে যায়। কারা তত্ত্বাবধায়ক মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের চার সদস্য ও একই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলায় আটক তিন সাক্ষীকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছে র্যাব।
আসামি হলেন কনস্টেবল সাফানুল করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়া। আর পুলিশের মামলায় তিন সাক্ষী হলেন মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিন।
সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যা মামলায় প্রথম রিমান্ড শুনানিতে ‘আত্মসমর্পণ’ করা টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত ও এএসআই নন্দ দুলালের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। সেইসঙ্গে অন্য চার আসামিকে দুই দিন করে জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদেরকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১০ আগস্ট আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ১২ আগস্ট তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গ্রেপ্তার টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মারিশবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মুদি দোকানি নুরুল আমিন (২২) কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কেউ নন- গত ৩১ জুলাই রাতে পাহাড় থেকে মেজর সিনহা নামার সময় তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে ডাকাত বলে মোবাইলে তথ্য দিয়েছিলেন মুদি দোকানি নুরুল আমিন।
তিন সাক্ষী মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিনকে পরে সিনহার বোনের দায়ের করা হত্যা মামলার আসামি দেখায় র্যাব। গত ১১ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওইদিনই তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে ১২ আগস্ট শুনানিতে তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আবেদনের দুই দিন পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিল র্যাব। তবে আগে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে এখনো রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। তারা বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারে।
টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম সভাপতি নুরুল হুদা ও আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার নুরুল আমিন স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার পেয়েছে। বাস্তবে নুরুল আমিন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কেউ নন।