ফেনী সীমান্তে মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরো মজবুত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আশাবাদ কথা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেনী সেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কানেক্টিভিটি বাড়বে। ফলে এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।
তিনি বলেন, ফেনীর কাছেই চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর রয়েছে। এ সেতু দিয়ে সমুদ্রবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া সহজ হবে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৯ কিলোমিটার। এটি রামগড়ের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুমে যুক্ত হয়েছে। ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন নির্মাণ করেছে এই সেতু। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এই সেতু দিয়ে সহজেই ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হবে।
ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির নাম রাখা হয়েছে মৈত্রী সেতু’। এটি উদ্বোধনের পর ত্রিপুরার সাবরুমে একটি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।