বন্যাকবলিত এলাকায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় স্বাভাবিক মৎস্য ও প্রাণিজ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক তা বাস্তবায়নে কর্মকৌশল নির্ধারণেরও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
মৎস্য খাতের ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণপূর্বক ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের কারিগরি সহায়তা প্রদানে মাঠ পর্যায়ের মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই পত্রে বন্যা-পরবর্তী মৎস্য চাষে পোনার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারিদের অতিরিক্ত পোনা উৎপাদন ও মজুদ করে পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। এর আলোকে সরকারি-বেসরকারি খামারে পোনা মজুদের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চাষকৃত মাছের সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে মৎস্যচাষি, উদ্যোক্তা ও খামারিদের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেছে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় গবাদি পশু-পাখির রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধ ও প্রতিকার কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং বন্যাপীড়িতদের পরামর্শ দান ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই পত্রে বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর চেকলিস্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ ও সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণিসম্পদ খাতের সর্বশেষ চিত্র এবং বন্যাকবলিত এলাকায় গৃহীত পদক্ষেপের তথ্যাদি প্রতিদিন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করছে। কন্ট্রোলরুম থেকে ২৯ জুলাই তারিখে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বন্যাকবলিত এলাকায় মোট ১২ লাখ ১৯ হাজার ৬২২টি গবাদি পশু ও ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ৪২১টি হাঁস-মুরগি উঁচু জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৪৯টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম গঠন করে ৮১ হাজার ১৬৮টি গবাদি পশু ও চার লাখ ১৩ হাজার ৬৩৪টি হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে এক হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন গোখাদ্য।
বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের চলমান ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত পশুখাদ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশ দেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে নির্দেশনাপত্র পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।