মোঃইয়াসিন,সাভার প্রতিনিধিঃ সারাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর পদক্ষেপের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের সহায়তায় সরকারি ছুটির মধ্যেও জেলা প্রশাসকদের কাছে আরও তিন দফায় খাদ্য সহায়তা পাঠাবে সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.মো. এনামুর রহমান(এমপি) মঙ্গলবার(৩১মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, “সরকারের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ও খাদ্য মজুদ আছে, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।”
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। … আজকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে (ডিসিরা) একটি জিনিস প্রশংসা করেছেন তারা ছুটির সময় কর্মহীন মানুষগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন ছিল সেই পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছেন। তাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে।
“আমরা মনে করি যে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ছুটির এই দিনগুলোতে অফিস খোলা রেখে যে অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছে, সেটা সফল হয়েছে।”
ডা.এনামুর বলেন, “যারা ছুটি ঘোষণার পর ঢাকা ত্যাগ করে বাড়িতে ফিরে গেছেন তাদের কোয়ারেন্টিনের সময়টুকু ১৪ দিন হিসেব করলে ৯ তারিখ (এপ্রিল) পর্যন্ত চলে যায়। সেটা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী ছুটিকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেন
ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২, ৪ ও ৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকদের কাছে আরও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাব। যাতে ৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
“আমাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ও খাদ্য মজুদ আছে। আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের অত্যন্ত মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন আপনাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।”
এসব ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়ম হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা মনে করিয়ে দেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আজকে ভিডিও কনফারেন্সের সময় প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন- এই যে কর্মহীন অসহায়-দুঃস্থ মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, এখানে যদি কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করে, অসহায় দরিদ্র মানুষের হক যদি কেউ নষ্ট করে তাদেরকে তিনি শাস্তির আওতায় আনবেন। তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন এ রকম ঘটনা ঘটলে তাদেরকে যেন সাথে সাথেই পাকড়াও করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
“আমরাও হুঁশিয়ারি দিতে চাই, জনগণের টাকায় কেনা এই ত্রাণ সামগ্রী যাদের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে, আপনারা সবই খেয়াল রাখবেন সত্যিকারের যারা ভুক্তভোগী, সত্যিকারের যারা কর্মহীন তারা যেন এই খাদ্য সহায়তা পায়।”