কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই বিধিনিষেধ চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।
তবে চলমান এই বিধিনিষেধ আরো ৭ দিন বাড়তে পারে। তবে ঈদের আগে পরিস্থিতি দেখে লকডাউন কিছুটা শিথিলও হতে পারে। বুধবারের মধ্যে এনিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। মৃত্যুর সংখ্যা এখনো একশ’র বেশি। তাই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে ৭ দিন বাড়তে পারে।
আগে করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করে ‘কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’। পরে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় পরামর্শক কমিটি সুপারিশ বিবেচনা করবে। এরপর সাত দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।
বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সরি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটিও যেন বাড়ছেই। আজ রবিবার দেশে করোনার ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৬৬১ জনের।
মোট মারা গেছেন ১৫ হাজার ৬৫ জন। আর মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জন। এমন পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, করোনায় যে হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে, বিধিনিষেধ বাড়ানো ছাড়া সরকারের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।