মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা করোনা থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসীর দোয়া কামনা করে বলেন, আপনারা সবাই দোয়া করেন, আমরা যেন এ অবস্থা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারি। যদিও লকডাউন শিথিলতার জন্য হয়তো গত কয়েকদিন সংক্রমণ একটু বেড়ে গেছে। তবে আশা করি, এটাও আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব এবং আনা সম্ভব।
আজ ১৪ মে বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের ব্যাংক হিসাবে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, উন্নত দেশের সাথে তুলনা করলে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা এটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তবুও দেশের জনগণকে বলব, আর একটু নিজেরা সুরক্ষিত থাকেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এটা বলব না, সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকেন। কেননা আপনাদের কিন্তু অক্সিজেন নিতে হবে, নিঃশ্বাস নিতে হবে। কারো সঙ্গে কথা বলার সময় বা যখন জনসমাগমে যাবেন বা বাজারঘাটে যাবেন, তখন মাস্ক পরবেন। যখন এমনি থাকেন, তখন কিন্তু এটা পরবেন না। এটা কিন্তু অনেক সময় ভালোর চেয়ে ক্ষতিও করে।
তিনি বলেন, সবাইকে বলব, হ্যাঁ শুধু সংক্রমিত যেন না হয়। যাতে কারো সাথে কথা বলতে গেলে, হাঁচি, কাশি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে সংক্রমিত না হয়, সেটা দেখতে হবে। এমনি সময়ে যখন অফিসে কাজ কর্ম করছেন, যখন নিজে কাজ কর্ম করছেন, তখন মাস্ক পরে থাকতে হবে, সেটা কিন্তু না।
এমন মাস্ক পরতে হবে, যাতে সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায়। এন৯৫ মাস্ক কিন্তু সাধারণ মানুষের পরার জন্য না। এটা যারা ডাক্তার, নার্স বা যারা কোভিড রোগীর সেবা দেবে, তাদের জন্য। এটা সাধারণ মানুষের পরার দরকার নাই বা যৌক্তিকতাও নাই। ঘরে তৈরি করেও মাস্ক পরা যায়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস যাতে অন্যের কাছে না যায়, অন্যেরটা যেন নিজের কাছে না আসে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য মাস্ক পরতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এন৯৫ মাস্ক শুধু চিকিৎসা যারা দেবে, অপারেশন থিয়েটারে যারা থাকবে বা আইসিইউতে থাকবে, হাসপাতালে রোগীর পাশে থাকবে বা রোগী দেখবে, পরীক্ষা করবে, তারাই পরবে। অথবা রোগীর সেবা যারা দেবে, তাদের পরতে হবে। হাসপাতাল বা হাসপাতালের বাইরে যারা রোগীর সেবা দেবে তারা এ মাস্ক পরবে। সাধারণ মানুষের এটা পরার কোনো প্রয়োজনীয়তাই নাই। এটা পরে অপচয় না করে হাসাপাতলে পাঠিয়ে দেওয়াই ভালো। ইনশা আল্লাহ এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি পাব।