আসন্ন ২৬ সেপ্টেম্বরের লিখিত পরীক্ষা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষা গ্রহণ করে আইনজীবী সনদ প্রদানের দাবি উত্থাপন করা হয়েছে সংসদে।
সোমবার সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, আমাদের আইনের ছাত্ররা আজ ৬৫ দিন প্রেসক্লাবে তাদের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য আন্দোলন করছে।
তাদের আন্দোলনের মুখে লিখিত পরীক্ষার জন্য তারিখ দেয়া হয়েছে, আন্দোলন দমানোর জন্য যে লিখিত পরীক্ষার তারিখ দিলেন, এখন এই করোনাকালে ১৩ হাজার পরীক্ষার্থীকে কীভাবে পরীক্ষা নেবেন, যেখানে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, সেখানে এই ১৩ হাজার আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির জন্য কিভাবে পরীক্ষা নেবেন মাননীয় স্পিকার।
এই করোনাকালে ১৩ হাজার পরীক্ষার্থীকে না বসিয়ে জেলা জজদের অধীনে শুধুমাত্র ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে তাদেরকে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর করোনা পরিস্থিতির কারণে দ্রুততম সময়ে নিবন্ধন পেতে লিখিত পরীক্ষা বাদ দিয়ে সরাসরি ভাইভা থেকে আইনজীবী হিসেবে এনরোলমেন্টের সুযোগ পেতে আন্দোলন করছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
সনদ ও বার কাউন্সিলে নিবন্ধের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুই মাসের বেশী সময় ধরে মানবিক প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
গত ৭ জুলাই প্রিলি উত্তীর্ণ ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
২০১৭ সাল থেকে একটানা তিন বছর কোনো লিখিত পরীক্ষা হয়নি। মহামারি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এরপরেও পরীক্ষা শুরু হলে চূড়ান্ত তালিকাভুক্তি পর্ব শেষ হতে হতে আরও দুই থেকে আড়াই বছর সময় লেগে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে যারা প্রিলিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন বিশেষ বিবেচনায় তাদের লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে সরাসরি ভাইভার মাধ্যমে অ্যাডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করুক।
অন্যদিকে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রিলিমিনারী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আইন শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরই নেওয়ার প্রশ্নে অনড় বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ।
বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় গত শনিবার পরীক্ষার তারিখ ঠিক রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।