শিক্ষার্থীদের সহজে শিক্ষা চালিয়ে নিতে শিক্ষাঋণ দেওয়া যেতে পারে। আমি সংসদে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়েছেন।
আমরা শিক্ষাঋণ দেওয়ার কথা ভাবছি। এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা চাই, কোনোভাবেই যেন শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার না হয়।
শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘করোনাকালে ই-লার্নিং শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় তিনি এ কথা জানান। ‘ই-লার্নিং’ ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ওসামা খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিসিসিআইয়ের সভাপতি শামস মাহমুদ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বর্তমান শিক্ষানীতি ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে, সেটাকে যুগোপযোগীকরণ এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষানীতিতে ই-লার্নিংকে আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সামনের দিনগুলোতে ক্লাসরুমে সরাসরি শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে ই-লার্নিং কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে ই-লার্নিং কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, মেধাবীদের শিক্ষাক্রমে নিয়ে আসার জন্য শিক্ষকতা পেশাটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরো বেশি হারে গবেষণা পরিচালনা করতে হবে।
বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কারম্যান জেড লামাংনা, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ হোসেন মোল্লা প্রমুখ।