ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পরীক্ষার হার নিয়ে অনেক কথা থাকলেও বাংলাদেশ নমুনা পরীক্ষায় জাপানের কাছাকাছি আছে। আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দেশে করোনায় একজনও না খেয়ে মারা যায়নি। যারা সতর্ক ও আশংকা করেছিল, পরিস্থিতি খারাপ হবে, তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় নানা আলোচনা সমালোচনা থাকলেও, তুলনামূলক অবস্থান ভাল উল্লেখ করে তিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়াতে তথ্য মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকলে কাজ করে চলেছে। শীতকালে করোনা প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কায় সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন,করোনা পরীক্ষার হার নিয়ে যে বক্তব্য আছে সেটা নিয়ে বলতে চাই, বাংলাদেশে যে পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে সেটা জাপানের প্রায় কাছাকাছি, করোনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্র আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাড়ে ছয় মাসের বেশি সময় বাংলাদেশে করোনা এসেছে। এই ভাইরাস সমগ্র পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল, এখনও পৃথিবী স্বাভাবিক হয়নি।
আমাদের দেশে কার্যত সবকিছু বন্ধ করে লকডাউন ঘোষণা না করলেও লকডাউন করা হয়েছিল, সবকিছু বন্ধ ছিল।
তিনি বলেন, পৃথিবী যখন স্তব্ধ হয়ে গেল, বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হল, তখন অনেকেই শঙ্কা করেছিলেন বাংলাদেশে কি পরিস্থিতি দাঁড়াতে পারে।
এখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে সেই শঙ্কার কথা অনেকে ব্যক্ত করেছিলেন, অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থা নানা মত-অভিমত ব্যক্ত করেছিল।
এশিয়ার প্রায় সমস্ত দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশে করোনাকালে পাঁচ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এডিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী করতে সক্ষম হয়েছে। করোনা না হলে আমাদের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল, তা করা সম্ভব হতো।
শীতকালে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।