আগামী শীতে করোনা মহামারির প্রকোপ বাড়তে পারে। সেটা মাথায় রেখে সরকার জেলা হাসপাতালগুলো প্রস্তুত করছে। প্রত্যেকটা জেলা হাসপাতালে আইসিইউ নির্মাণ থেকে শুরু করে অক্সিজেনের ব্যবস্থাসহ সব ধরনের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অল ওয়েদার সড়কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাওরের বিস্ময় হিসেবে পরিচিত এই সড়কটি কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে যুক্ত করে নির্মিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাজই হচ্ছে জনগণের কাজ করা, জনগণের কল্যাণ করা। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ২ হাজার ডাক্তার, ৩ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি, টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছি। আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি।
আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে। কারণ তিনি যদি উদ্যোগ না নিতেন আর আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করতেন তাহলে হয়তো এই রাস্তাটা করা সম্ভব হতো কি না সন্দেহ। তারি আগ্রহে এবং উদ্যোগে এই সড়কটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রামের মানুষ বর্ষাকালে যখন থাকে তখন পানি নৌকায় যাতায়ত করত, কিন্তু শুকনা মৌসুমে যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা তেমন ছিল না, পায়ে হাঁটা ছাড়া।
সেজন্য এলাকায় একটা কথা প্রচলিতই ছিল বর্ষায় নাও শুকনায় পাও। আজকে আর সেটা না, এখন আর দুই পায়ে হাঁটতে হবে না। এখন গাড়ি ঘোড়া সবই চলবে, সেই ব্যবস্থাটা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে বলেন, আমরা সারাবাংলাদেশ সড়কের একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছি। যোগাযোগ ব্যবস্থায় নৌপথগুলি সচল করা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।
রেলপথ সংযোগ আবার পুনরায় স্থাপন করে নতুন নতুন রেল লাইনের সম্প্রসারণ করে রেলের যোগাযোগটা বাড়াচ্ছি। নৌপথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি, সড়ক পথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি।
এতে করে মানুষের যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে, মানুষের পণ্য পরিবহনের সুবিধা হবে, সেখানে মানুষের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বিতা ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।
আমরা সেইভাবেই বাংলাদেশকে গড়তে চাই এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আমাদের এটাই লক্ষ্য যে মুজিববর্ষে আমরা এদেশের মানুষের দুঃখ দুর্দশা দূর করে, এদেশের মানুষকে আমরা একটা সুন্দর জীবন দিতে চাই।
এ সময় গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রান্তে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, ডিসি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।