আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার এদেশের জনমানুষের প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দেয়। তাই যারা জনপ্রত্যাশার বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বার্থ সুরক্ষার অপপ্রয়াস চালাবে, তারা যেই হোক, যেই ক্যাম্পে অবস্থান করুক তাদের রক্ষা নেই। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতেই হবে।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারবিরোধী সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুরু থেকে একটি মহল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের ব্রত হিসেবে বেচে নিয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানকে তারা সমর্থন সহযোগিতা না দিয়ে বরং সমালোচনায় মেতে উঠেছে। সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে অনিয়মকারীদের, প্রশ্রয় দিচ্ছে দুর্নীতিবাজদের।’
শনিবার (১৮ জুলাই) তিনি তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ সব কথা বলেন।
আমি জানতে চাই, আপনাদের সময় তো দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। ছিল দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য। তখন কি ধরনের একটি সফল উদ্যোগ আপনারা নিতে পেরেছিলেন? আপন দলের অপকর্মকারিদের পেরেছেন দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে কিছু করতে পারেননি? গ্রেনেড হামলার বিচার করতে গিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছেন আপনারা, তাই চলমান অভিযানকে পরিহাস করা তাদের মুখেই মানায় না যারা নাটক সাজায়। নাটক করে যাচ্ছেন অব্যাহতভাবে, তারা সব কিছুতেই নাটক দেখতে পাবেন এটাই স্বাভাবিক।’
অভিযান অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজ উদ্যোগে এ সব অভিযান পরিচালনা করছেন। কোনো দল বা মহল থেকে এসব অনিয়মের কথা আগে তুলে ধরা হয়নি। সরকারই উদঘাটন করেছে এবং কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর থেকে বোঝা যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা আন্তরিক এবং কঠোর অবস্থানে। শেখ হাসিনার কাছে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশ্রয় পাবে না। দুর্নীতিবাজদের দুর্বৃত্তদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। কতিপয় মানুষের প্রতারণা চাতুর্যের কাছে জনসাধারণের আশা-আকাঙ্ক্ষা জিম্মি হতে পারে না।
সততা ও নিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে দল ও সরকারের পরিচালনা করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এদেশের রাজনীতিতে সততার প্রতীক বঙ্গবন্ধু পরিবার। তাই সরকার ও শেখ হাসিনার অর্জন আমরা গুটিকয়েক ব্যক্তির লোভের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিতে পারি না বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে সংক্রমণ উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যাবে বিশেষজ্ঞদের এমন আভাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দেশবাসীকে আসন্ন ঈদে জনসমাগম যে কোনো মূল্যে এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনার সরকার এদেশের জনমানুষের প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দেয়। তাই যারা জনপ্রত্যাশার বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বার্থ সুরক্ষার অপপ্রয়াস চালাবে, তারা যেই হোক, যেই ক্যাম্পে অবস্থান করুক তাদের রক্ষা নেই। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতেই হবে।
গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদযাত্রায় সবাইকে নিজের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।’
পশুরহাট-লঞ্চ-বাস-ট্রেন স্টেশন-ফেরিঘাট-শপিং মলসহ বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানা সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন মাস্ক পরিধান অবশ্যই করতে হবে।
করোনার সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে আক্রান্তদের পাশে থেকে যারা দিনরাত সেবা দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন যারা সম্মুখসারিতে কাজ করছেন জাতির পক্ষ থেকে তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।
দেশ ও জাতি আপনাদের এ ত্যাগ চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে, আপনারা অন্যদের বেঁচে থাকার প্রেরণা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়া বন্যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে তাই অসহায় বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদেরও আহ্বান জানান আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।