সংবিধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গভীর অনুভূতির ফসল। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বসেরা অনন্য সংবিধান।
এই সংবিধানে অনুসৃত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
সংবিধানের সুফল বঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এতেই সংবিধান সকলের কাছে অর্থবহ হবে।
বুধবার বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ৪৯তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং ৭২ এর সংবিধান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদার, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রকাশ রায়, হাসনাত ফারুক শিমুল রবিন, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবু, সমাজকর্মী সুচরিতা দেব প্রমুখ।
স্পিকার বলেন, বাংলার মানুষকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করে শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সমাজ ও অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ-চিন্তা-দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে সংবিধানে।
সংবিধানের চারটি মৌলিক স্তম্ভ- জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা তিনি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ছিল তাঁর দর্শন।
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদে ও ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান প্রণয়নের দিনে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণ দুটোতে সমগ্র সংবিধান প্রণয়নের কাঠামো ও প্রেক্ষাপটের পরিপূর্ণ প্রতিফলন রয়েছে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরের দিন ১১ জানুয়ারি ‘প্রভিশনাল কনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ অর্ডার-১৯৭২’ প্রণয়ন করেন, যেখানে গণপরিষদকে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
পরবর্তীতে, ৪ নভেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদ সংবিধান প্রণয়ন করে, যা ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে কার্যকর হয়। বঙ্গবন্ধু সংবিধান প্রণয়নের কাজটি করেছিলেন দ্রুততার সাথেই, কেননা দীর্ঘ সময় এদেশের মানুষ শাসনতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর কাছে স্বাধীন বাংলার মাটিতে বসে বাঙালিকে সংবিধান উপহার দিতে পারার চেয়ে বেশি আনন্দের ছিলো।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন সংবিধানের চারটি মৌলিক স্তম্ভের আলোকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শোষণহীন সমাজ নির্মাণ করতে পারে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধানের এই মূল ভিত্তিগুলোকে সামনে রেখেই একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বৈশ্বিক কোভিড মহামারির দুঃসময়েও অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে, দেশে খাদ্যের সংকট হয়নি এবং আমাদের সূচকগুলো এখনো ঊর্ধ্বমুখী।
উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment