সাম্প্রতিক শিরোনাম

সংসদে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির দুই সংসদ

দেশে বন্দুকযুদ্ধের নামে ক্রসফায়ারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির দুই সংসদ সদস্য। এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।

যারা যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবার যেন বিচার পায় সেই দাবি করেছেন তারা‌। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতিও দাবি জানিয়েছেন ওই দুই সাংসদ।

সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির সদস্য হারুনুর রশিদ ও রুমিন ফারহানা এই দাবি জানান।

প্রথমে হারুনুর রশিদ তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ দিয়ে জানান, এসব হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সংবিধান লংঘন করা হচ্ছে।

আমি গত বছর ২৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদে এমপি হিসেবে শপথ নেই। তার মাত্র দুই দিন পর ৩০ এপ্রিল আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রকাশ্যে আরেকটি বিচারবহির্ভূত দিনের বেলায় অমানবিকভাবে হত্যাকাণ্ড হয়।

একটি পেশাদারী প্রতিষ্ঠান দুপুর তিনটার সময় একজন সাধারণ নাগরিককে ধরে নিয়ে এসে তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পুলিশি এজাহার দাখিল করে এই ঘটনা ঘটে থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে।

সেই এজাহারে বলা হয়, পুলিশের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালানো হয়েছে। কিন্তু দেখানো হয়েছে হাতে তৈরি অস্ত্র।

বিষয়গুলো শিকার আমি আপনার কাছে পাঠাব আপনি অবশ্যই মন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলবেন। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ঘটনায় ২ জন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে তাদের একজন আমাদের এলাকার ভাইস চেয়ারম্যান ক্যান্ডিডেট ছিলেন।

আর তার বড় ভাই। অথচ ঘটনার দিন তারা সংসদে এসে সংসদ গ্যালারি থেকে আমাদের অধিবেশন দেখেছেন। সংসদে ঢুকতে হলে সবার অনুমতি নিতে হয়।

এই সংসদের কাছে এ ধরনের ডকুমেন্টস আছে। তাদের নামে আমি পাস ইস্যু করেছিলাম। ৩০ তারিখ তারা দর্শক গ্যালারি থেকে এই সংসদে উপস্থিত ছিল।

তাদেরকে সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিল উল্লেখ করে মামলার আসামি করা হয়েছে।

এই ধরনের পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে মানুষকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উপর্যুপরি উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে এবং নাটক বানাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি যা বলছি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি এগুলো শতভাগ সত্য। কিঞ্চিৎ পরিমাণ মিথ্যা নাই।

আমাদের এলাকার এক ছাত্রকে ঢাকার শেওড়াপাড়া থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এলাকায় ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। ঢাকা থেকে তুলে নেওয়ার চারদিন পর তাকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়। এ ধরনের উপর্যুপরি ঘটনা ঘটেই চলেছে। মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের আজকে বিচার হচ্ছে।

আদালত তাদের পরিবারের মামলা গ্রহণ করেছে তদন্ত কাজ চলছে। কিন্তু বাংলাদেশে আরও প্রায় তিন হাজারের অধিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে তারা কি বিচার পাবে না? তাদের পাশে রাষ্ট্র দাঁড়াবে না? তাদেরকে কি রাষ্ট্র এই অধিকার দিবে না?

রুমিন ফারহানা সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যতীত কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কি বলে সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী – আইন অনুযায়ী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

এই সরকার ২০১৩ সালে একটি আইন করেছিল হেফাজতে নির্যাতন মৃত্যু নিবারণ আইন। আনফরচুনেটলি এই আইনটি করা হলেও চমৎকার সব ধারা থাকা সত্ত্বেও এই আইনে কিন্তু খুব বেশি মামলা হয়নি এবং এই গুটিকতক মামলা হয়েছে সেই মামলাগুলো এখন কি অবস্থায় আছে কতটুকু অগ্রগতি আছে, সেই ব্যাপারে কিন্তু আমরা বেশি কিছু জানিনা।

শুধু কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখেছিলাম একটি মামলা রায়ের কাছাকাছি গেছে এবং ডেট ফিক্সট হয়েছে। অথচ এই সাত বছরে অসংখ্য মানুষ পুলিশ হেফাজতে মারা গেছে।

কিন্তু তার মামলাগুলো কি হলো, কেন পরিবারগুলো মামলা করার সাহস পায় না, হলে কয়টি মামলা হয় সেইসব মামলার কি অবস্থা তার কিছুই আমরা জানি না।

সম্প্রতি একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সকলেরই দৃষ্টি কেড়েছে। অথচ প্রতিদিনই একটির বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয় আমি যদি পরিসংখ্যান দিয়ে বলি ২০১৮ সালে ৪৬৬ জন ২০১৯ সালে ৩৮৮ জন আর এই ২০২০ সালে করোনাকালে প্রথম ছয় মাসে ১৫৮ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

আমরা যদি পাটিগণিতের হিসাব অনুযায়ী বলি তাহলে প্রতিদিন একজনের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

এই যে বারবার বলা হচ্ছে এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এগুলোর একটিও কিন্তু বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কারণ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে গত এক যুগে অর্থাৎ ১২ বছরে তিন হাজারের ওপরে মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

এই যে টেকনাফে কুখ্যাত ওসি প্রদীপ ২০১৯ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম পাওয়ার ক্ষেত্রে যে ছয়টি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয় তার প্রত্যেকটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পুরস্কারস্বরূপ কোনো পুলিশ অফিসার যদি সর্বোচ্চ পুলিশ পদক পেয়েছেন তাহলে সেটি তো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করবে সেটাই স্বাভাবিক।

শুধু যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তাই নয়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অর্থ লেনদেন বিষয় জড়িত আছে। দেখা যায় সাধারণ পরিবার থেকে মানুষ ধরে নিয়ে যাওয়া হয় অর্থ দাবি করা হয় এবং অর্থ না পেলে ক্রসফায়ারে ভয় দেখানো হয়। অথচ আমরা শুনেছি আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে গুম বলে কোনো শব্দ নেই।

একই লাইন ধরে পুলিশের আইজি কিছুদিন আগে বলেছেন ক্রসফায়ার নামেও বলে কিছু নাই। এটি এনজিওগুলোর শব্দ।

তিনি বলেন, যে রাষ্ট্রে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হয় সেরা ইঙ্গিত করে। সেখানে বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়েছে; সেখানে আইনের শাসন ধ্বংস হয়েছে। সেখানে মানুষ বিচারের প্রতি আস্থা হারিয়েছে এবং সেই রাষ্ট্র অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...