আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিব্রত হচ্ছে দলটি। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাঁরা নজরদারিতে রয়েছেন। সরকারি দলের প্রভাবশালীরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হলে তাঁদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে বেশির ভাগ সরকারি দলের লোকজনের নাম আসছে। এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এর পরও সরকার কঠোর অবস্থান বজায় রাখবে।
কভিড পরীক্ষা ও চিকিৎসায় অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম এবং নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক নেত্রী শারমিন জাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাহেদ নিজেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি উপকমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন টেলিভিশনের টক শোতে নিয়মিত আলোচক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের প্রশ্রয় ছিল সাহেদের প্রতি। অন্যদিকে শারমিন দলের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের নেত্রীও ছিলেন।
অবৈধ ক্যাসিনো কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম কয়েকটি সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকার শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া শারমিন জাহানের ব্যাবসায়িক অংশীদার নজরদারিতে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন উপকমিটিতে ঢুকে পড়া সুবিধাবাদীরাও রয়েছেন নজরদারিতে। দুর্নীতিবিরোধী এ অভিযান আরো বিস্তৃত হবে। স্বাস্থ্য ছাড়াও অন্যান্য খাতের অনিয়মের সঙ্গে যুক্তদের বিষয়ে সতর্ক সরকার। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চলবে।
৯ জুলাই জাতীয় সংসদে বলেন, ‘দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িতদের আমরা ধরে যাচ্ছি। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, অনিয়মে জড়িত আমরা যাকেই পাচ্ছি এবং যেখানেই পাচ্ছি তাকে ধরছি।’ তিনি সংসদে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতিবাজ কে কোন দলের সেটা বড় কথা নয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, নেব। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতিবাজরা সবাই নজরদারিতে আছে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী শারমিন জাহান গ্রেপ্তার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের আরো যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাঁদের কী হবে? জবাবে তিনি বলেন, কেউ যদি দুর্নীতি করে তারাও সময়মতো ধরা পড়বে। কেউ বাদ যাবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, “দুর্নীতি করতে গেলে ‘পলিটিক্যাল ক্লাউট’ লাগে। তাঁরা (রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী শারমিন জাহান) আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের দুর্নীতি দিবালোকের মতো স্পষ্ট, মামলা হয়েছে। সরকার ভাবমূর্তি রক্ষায় তাঁদের ধরেছে। না ধরে উপায় ছিল না।
আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরকারের উচ্চ মহলে আনুকূল্য পাওয়া ঠিকাদার জি কে শামীম গ্রেপ্তার হন। অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি এনবিআর ও দুদক দুর্নীতির খোঁজে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment