করোনা প্রতিরোধে সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না- বিএনপির এমন সমালোচনার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সমালোচনার নামে জাতিকে আর কত অসত্য তথ্য দিয়ে যাবেন?
আজ ২৬ জুন শুক্রবার তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং এ তিনি বলেন, যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনা বা পরামর্শ গ্রহণ করার সৎ সাহস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আছে। রাজনীতির নামে কাদা ছোড়াছুড়ি মানুষ পছন্দ করছে না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন,‘এখন কোনো রাজনীতি নয়। এখন একটাই রাজনীতি সংক্রমণ রোধ ও মানুষকে বাঁচানো। কাজেই চিরায়ত ভঙ্গির মিথ্যাচার বন্ধ করে সংকট সমাধানে কোনো পরামর্শ থাকলে দিন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন।’ ‘বিএনপি করোনা সংকটের শুরু থেকেই দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন না করে সরকারের সমালোচনাকে নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল কিংবা দর্শন হিসেবে নিয়েছে। এতে বিএনপি’র আদৌ জনসমর্থন বেড়েছে কি?’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার শুরু থেকেই নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দিনরাত পরিশ্রম করে সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহসহ অসহায় কর্মহীন মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যসহ জগতের তাবৎ সমৃদ্ধ শক্তির দেশগুলোর সীমাবদ্ধতা নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমি বলতে চাই কোন দেশের প্রস্তুতি শতভাগ ছিল? কোন দেশের সীমাবদ্ধতা ছিল না? শুধু সমালোচনা করতে হবে বলে আপনারা জাতিকে অসত্য তথ্য দিয়ে যাবেন ?’প্রযুক্তি আর সামাজিক যোগাযোগের উন্মুক্ত প্রবাহের কালে তথ্য গোপনের কোনো সুযোগ নেই এবং সরকারের সেই ইচ্ছাও নেই। সরকারের নানান সীমাবদ্ধতা আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন,সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে শেখ হাসিনা সরকার ক্রমশ সক্ষমতা অর্জন করছে। এ পর্যন্ত দেশে সোয়া এক লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মাঝে আল্লাহর রহমতে ৫০ হাজারের বেশি সুস্থ হয়েছে। সংখ্যাগত হিসেবে এটিও কম নয়। চিকিৎসক-নার্স টেকনিশিয়ানসহ ফ্রন্টলাইনে পুলিশ-সেনাবাহিনী জনপ্রশাসন জীবনবাজি রেখে কাজ করছে। সেবা দিতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। কই বিএনপি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে কথা বলে না, তাদের মনোবল যাতে ভেঙে না যায় তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন না। নেতিবাচকতা তাদের এতই গ্রাস করেছে যে তারা দিনের আলোতেই রাতের আঁধার দেখতে পায়।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসায় যেসব সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলোর যথাযথ বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজারের কৌটা ইত্যাদি যেখানে-সেখানে ফেলে রাখায় একদিকে দূষণ বাড়ছে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিত্যক্ত সামগ্রী নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়ার অনুরোধ করেন মন্ত্রী।