অবিলম্বে বিএডিসির মাধ্যমে উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে গরিব কৃষকের ধান কাটার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাড. এস এম এ সবুর ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন আজ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। সারাদেশে চলমান লকডাউনের ফলে কৃষি শ্রমিকরা এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে ধান কাটার জন্য অবাধে যাতায়াত করতে পারছে না। ধান কাটার শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটার মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান বিক্রি করা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। ফলে কৃষকরা বোরো ধান নিয়ে চরম বিপাকে পরেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কৃষি শ্রমিকদের ধান কাটার জন্য হাওর অঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলে যাতায়াত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রমিক সংকটের ফলে অধিকাংশ কৃষক সময়মতো ধান কাটতে পারছে না। অবিলম্বে বিএডিসির মাধ্যমে উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে হার্ভেস্টর মেশিন দিয়ে গরিব কৃষকের ধান কাটার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি বছর সরকার ধান ক্রয় করলেও প্রকৃত বিক্রেতা কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে দলীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান ক্রয় করে থাকে। প্রকৃত উৎপাদক কৃষকের হালনাগাদ তালিকা করে কৃষি কার্ড বিতরণ করে সরাসরি উৎপাদক কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দ্রুত অস্থায়ী গুদাম তৈরি ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বোরো ধান কাটার সময়ে কৃষকদের জন্য নানা প্রকার প্রণোদনার ঘোষণা দিলেও এর সুফল পায় মূলত কৃষিযন্ত্রের ব্যবসায়ী, সেচ মালিক ও সিন্ডিকেটগোষ্ঠী। ধান কাটার প্রাক্কালে প্রণোদনার ঘোষণা মূলত প্রতি বছরের মতো কৃষকের ক্ষোভ প্রশমনের প্রয়াস মাত্র। সকল প্রকার প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকের হাতে পৌঁছে দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএডিসিকে সক্রিয় করে সার-বীজ-কীটনাশক-কৃষি যন্ত্রপাতির দাম কমাতে হবে, কৃষি সেচ কাজে পল্লী বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে, নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে, লটারি সিস্টেম বন্ধ করে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করে প্রকৃত উৎপাদক কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে।