বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল উল্লেখ করে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নারীদের গর্জে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কোন বিষয় মেনে নেওয়া হবে না।
যারা এ ধরনের ঘৃনীত কাজ করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
যারা নারীর অধিকার মানে না, মানে তেতুল তত্ত্ব, তারা শুধু নারী ধর্ষণকারীদের পক্ষে কথা বলে। তাদের জায়গা দুই লক্ষাধিক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে হবে না।
তাদের জায়গা ওই পাকিস্তানে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মা-বোনেরা গর্জে উঠো, জেগে উঠো নারীরা প্রতিহত কর ওই ধর্ম বিরোধী-স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদিদের।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ে প্রশাসন ও পেশাজীবীদের সাথে এক অলাইন মতবিনিময়’ সভায় এসব কথা বলেন।
ধর্ষণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ- আসুন নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি।’’ স্লোগানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফাওজিয়া মোসলেম এর সভাপতিত্বে অুনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক, ড. মো: শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ, জাতীয় বার্ন ইউনিটের চিফ কো-অর্ডিনেটর ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার বদ্ধ পরিকর। সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের বিচারকার্য আর আগের মতো ঝুলে থাকবে না।
বর্তমানে সময়ের প্রয়োজনে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে বিচার শেষ হচ্ছে।
এখন জনগণ সুফল পাচ্ছে। বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, যৌতুক, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কমিটি পূনর্গঠন করা হয়েছে। সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের সাথে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের একসাথে কাজ করতে হবে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের পূনর্বাসনের জন্য নারী পূনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন। নির্যাতিত মা-বোনদের বিরাঙ্গনা উপাধীতে ভূষিত করে মর্যদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন।
নারীদের ক্ষমতায়নের পথ সৃস্টি করেন। জতির পিতার পথ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার সম-মর্যাদার প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
সভায় অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, অ্যাড. এস.এম.এ সবুর, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট; ডা. সোহেল মাহমুদ, রুমানা আক্তার, বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক), ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি); হামিদা পারভীন পিপিএম, উপ-পুলিশ
কমিশনার, উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ; অ্যাড. আফরোজা ফারহানা আহমেদ, স্পেশাল পি. পি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা; তুষার আবদুল্লাহ, সুস্মিতা পাইক, ডেপুটি ডিরেক্টর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন; উম্মে ওয়ারা,সহকারী অধ্যাপক, ক্রিমিনোলজি বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পেশাজিবী ও গবেষকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।