জার্মান সরকারের প্রদান করা সাড়ে চার মিলিয়ন ইউএস ডলারের অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। এই অনুদান বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগণের সংকট নিরসনে ব্যবহৃত হবে।
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকবৃন্দ ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগনের প্রতি যে অঙ্গীকার তা পরিপূরণে এই অনুদান বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে। জীবনরক্ষাকারী সহযোগিতা এখন অত্যন্ত জরুরী, চলমান মহামারী ও ভারী বর্ষণ যখন অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত আট লাখ ৫৯ হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যেকে খাদ্যচাহিদা পূরণের জন্য ডাব্লিউএফপি’র সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। এছাড়াও ডাব্লিউএফপি পুষ্টি ও জীবিকার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য নিরাপত্তাসংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্টজ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও ডাব্লিউএফপি’র অনেকদিনের অংশীদার হিসেবে আমরা এটা জানতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের এই অনুদান এমন কঠিন সময়ে সবথেকে অরক্ষিত মানুষদের জীবন বাঁচাতে জনহিতকর কাজে সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের সহায়তা করছে।
কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রাগান বলেন, যখন কোভিড-১৯ বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সামাজিক বৈষম্য বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করছে ঠিক সেই সময় পৃথিবীর সবথেকে অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সংহতি অব্যাহত রাখা এবং উদারতা প্রদর্শনের জন্য জার্মানির প্রতি আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।
এই অনুদানসহ ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়া থেকে এ পর্যন্ত জার্মানি ডাব্লিউএফপি বাংলাদেশকে সর্বমোট ৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রদান করেছে।