ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের ওপর এবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সুশাসন শুধু সরকারিভাবে নয়।
বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার আছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, এনজিও আছে, সুশীলসমাজ আছে, রাজনীতিবিদ আছেন; তাদেরকে নিয়েই এই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সবাই মিলেই দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে।
আর এই সুশাসনের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাও একটি টেকসই ব্যবস্থাপনা হবে। তার ওপর ভিত্তি করে টেকসই বাংলাদেশ হবে। সোমবার আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এবার মূল অনুষ্ঠান হবে ওসমানী মিলনায়তনে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী উদ্যানে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০’ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিবসটি পালন উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশো, সড়কদ্বীপ সজ্জা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ইত্যাদি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, এবারের অনুষ্ঠানের কিছু বিশেষ দিক আছে। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ হাজার ৫০৫ জন নারী স্বেচ্ছাসেবীর (সিপিপি ভলান্টিয়ার) সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
এর মধ্য দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ওসমানি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সিপিপিতে স্বেচ্ছাসেবীদের অন্তর্ভুক্তকরণ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
চলতি অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫০০ পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সেটিও তিনি উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন— বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সে উপলক্ষে একটি তালিকাও করা হয়েছে। সেখানে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩টি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে।
যাদের ভূমি নাই তাদের ২ শতাংশ ভূমি দেওয়া হবে এবং পাকা ঘর করে দেওয়া হবে। আর যাদের ভূমি আছে কিন্ত ঘর নাই, তাদের ঘর করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ৫৯ হাজার ঘর নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘর তৈরির কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। যারা ঘর পেয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে তিন জনের অভিজ্ঞতা শুনবেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া মন্ত্রণালয়ের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে ২২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র করেছি। ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ চলমান আছে। ৬৪ জেলা ৬৬টি ত্রাণ গুদাম নির্মাণ করছি। কাজ শেষের দিকে। এগুলো হয়ে গেলে ত্রাণ সহায়তা আরও দ্রুত আমরা মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারবো।
দুর্যোগ কবলিত এলাকায়, দুর্যোগ কবলিত মানুষকে উদ্ধার, গবাদিপশু উদ্ধার, ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য আমরা প্রতিবন্ধী বান্ধব ৬০টি মাল্টিপারপাস রেসকিউ বোট তৈরির কাজ শুরু করেছি। এক মিটার গভীরতায়ও এই বোটগুলো চলতে চলতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সেন্টার নির্মাণের জন্য আমরা জমি পেয়েছি। তেজগাঁওয়ে চীনের সহায়তায় কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম হবে।
এছাড়া ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্র গড়তে জাপানের সহায়তায় আমরা কাজ শুরু করেছি। জাপান আমাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, বজ্রপাতের জন্যও নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। একই সঙ্গে দুযোর্গ প্রবণ এলাকায় আরো ১ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র, ১ হাজার মুজিব কিল্লা এবং ১ হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ডিপিপি করা হয়েছে।
এছাড়া যেকোনো দুর্যোগে উদ্ধার কাজের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। এজন্য আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment