শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাচ্ছি দ্রুতই সেকেন্ড ডোজটা দিয়ে দেওয়ার। আমি বলেছি একমাস বা দুইমাসের মধ্যে সেকেন্ড ডোজ দিয়ে এগুলো শেষ করার।
কারণ ভ্যাকসিনের যেন ডেট পেরিয়ে না যায় সেটাও দেখতে হবে। আমাদের বিভিন্ন বাহিনী এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিয়ে এসে তাদের দ্রুত (টিকা) দিয়ে দিতে হবে এবং এটা একটু বলে দিতে হবে (সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে)।
সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্বকালে সভার প্রারম্ভিক আলোচনায় একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকৈ অংশ গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী টিকা প্রদানকে আরো একটু সহজিকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এখন আমার মনে হয় একটু ওপেন করে দিয়ে তাড়াতাড়ি যত দেয়া যেতে পারে। কারণ একবার দিয়ে আবার নেক্সট ডোজের জন্য তৈরি হতে হবে। তিনি টিকা গ্রহণকারীদের পরিচয় পত্র প্রদানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের যত পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছেন তাঁদের সবাইকে এই টিকা দিতে হবে। যারা ফ্রন্ট লাইনার তাঁদের আগে দিতে হবে। এরমধ্যে চিকিৎসক বা চিকিৎসার সঙ্গে সম্মৃক্ত যারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীগুলো এবং যারা এই কভিড মোকাবেলায় সক্রিয় ছিল তাদেরকে আগে দিচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দলের নেতা-কর্মীরা এবং ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের ভলান্টিয়াররা জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল, যথেষ্ট কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আক্রান্তও হয়েছে এবং মারা গেছে তারাই সব থেকে বেশি। কাজেই তারা রেজিষ্ট্রেশন করলে টিকা নিতে পারবে। এখন আরেকটু ওপেন করে দেওয়ার নির্দেশনাও আমি দিয়েছি বলেন তিনি।