জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেটর পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ রহমান চন্দন।
এবার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে তিনি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। গত ৯ জুন হওয়া দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
একই সাথে সিনেট ডিস্টিক্ট্র আসন ৫-এ কোনো রিপাবলিকান প্রার্থী নেই। ফলে শেখ রহমানের বিজয়ী হওয়া সময়ের ব্যাপার বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে।
ফলে ৩ নভেম্বরের ভোটগ্রহণের দিন শেখ রহমানকে ভোট চাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। কেবল দিনটি অতিবাহিত বলেই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
সেই সাথে ওই আসনে দ্বিতীয় মেয়াদে সিনেটর হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
জর্জিয়া এমনিতেই এখন রেড স্টেট হিসেবে পরিচিত। তবে এবার এই স্টেটকে সুইং বলা হচ্ছে। রিপাবলিকান এই স্টেটে অনেকটাই ভালো করছে ডেমোক্রেটরা।
ফলে প্রথম মেয়াদে ডেমোক্রেটিক দল থেকে ওই স্টেটে প্রথম কোনো বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে শেখ রহমানের সিনেটর হওয়াটা খবরের জন্ম দিয়েছিল।
সেই সাথে তিনিই ছিলেন স্টেটটির প্রথম কোনো মুসলিম আইনপ্রণেতা।
শেখ রহমান বলেন, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী মিলে গড়ে ওঠা গৌরবের আমেরিকা। আমার এলাকাতে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যাই বেশি। তাদের সবার আস্থা অর্জন করতে পারাটা খুবই আনন্দের।
দেখুন আমাদের সবারই উচিত কাজ করে যাওয়া। বাংলাদেশি আমেরিকান, বিশেষ করে তরুণদের বলবো, অবশ্যই রাজনীতি সচেতন হতে হবে। এদেশের রাজনীতিতে অংশ নিতে হবে।
শেখ রহমান বলেন, এই মুহুর্তে তিনি জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে জোরালো কাজ করছেন। বিশেষ করে জোবাইডেন ও কামালা হ্যারিসকে বিজয়ী করা তার মতো অনেক ডেমোক্রেটের লক্ষ্য। ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেই থাকতে হচ্ছে তাকে।
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের শরারচর গ্রামে সন্তান শেখ রহমান চন্দন। ১৯৮১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান।
এরপর থেকেই পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে তিনি কাজ করেন। এক পর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন মানবিক কাজ ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে। এরপর সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে হাঁটতে শুরু করেন।
প্রবাসীরা বলছেন, জর্জিয়ার মতো স্টেটে শেখ রহমানের ভালো করা শুভ কিছুর ইঙ্গিত দেয়। এক সময় হয়তো জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদেও দেখা যাবে তাঁকে।