নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের স্বজনদের আহাজারি যেন থামছেই না। এখনো অনেক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে স্বজনরা সকাল থেকেই কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। স্বজনদের আহাজারিতে কারখানার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করছে। স্বজনদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া কারখানায় আগুন লাগার পরও কারখানা কর্তৃপক্ষ কেচি গেটের তালা না খোলায় শ্রমিকরা বের হতে পারেনি।
ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ওসমান গনি গণমাধ্যমকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু কারখানার ছয়তলা এ ভবনটিতে পরিস্থিতি একটু জটিল মনে হচ্ছে। চেষ্টা চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাপন করার।
এদিকে ভেতরে আরো মরাদেহ আছে কিনা তা খোঁজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দীর্ঘ সময়ে আগুনে পুড়ে নিহতদের দেহের শুধুমাত্র হাড় ও কংকাল ছাড়া বাকি সব পুড়ে গেছে। মরদেহগুলোর ছিল শুধু হাড়। মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে আঁতকে উঠেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অনেকে কেঁদেছেন এ মরদেহ দেখে। তবে কারখানার ভেতর থেকেই মরদেহগুলো ব্যাগে করে বের করা হয়। বাইরেও কাউকে দেখতে দেয়া হয়নি মরদেহের এ চিত্র।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়াল।