স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আগে সমালোচনার মুখে থাকা আবুল কালাম আজাদ গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আগে সমালোচনার মুখে থাকা আবুল কালাম আজাদ গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে দুই বছরের চুক্তিতে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল তার সেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) থাকার সময় ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট অধ্যাপক আজাদকে ডিজি নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ পদে যোগ দেন তিনি। গত বছরের ১৪ এপ্রিল তার চাকরি মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই চুক্তিতে নিয়োগ পান তিনি।
রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারিতে সমালোচনায় পড়েন তিনি। সরকার রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকে (উত্তরা ও মিরপুর) কোভিড চিকিৎসার দায়িত্ব দিয়ে সমঝোতা স্মারক সই করে। কিন্তু র্যাবের অভিযানে বেরিয়ে আসে, হাসপাতালের মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সের বিষয়টি। এছাড়া নমুনা পরীক্ষা না করেই সনদ দিত রিজেন্ট।
এ নিয়ে সমালোচনার শুরু হলে ব্যাখ্যা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্যাখ্যায় জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওই ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ হয় মন্ত্রণালয়। এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম এ বিষয়ে অধিদফতরের পরিচালককে (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার নির্দেশেই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে অধিদফতর।