স্বেচ্ছাসেবাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে প্রধান পরামর্শক করে একটি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে জাতিসংঘ ও অন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে এক সভায় এই ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের সচিব ও সিইও সুলতানা আফরোজ, UNDP-এর আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, UNV-এর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মিজ সেলিনা মিয়া, UNV Bangladesh-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর আকতার উদ্দীন, ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
স্বেচ্ছাসেবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থাকলেও বাংলাদেশে এর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নেই।
দেশে একটি কাঠামো তৈরি করার লক্ষ্যেই আজকের এই সভার আয়োজন। দেশে স্বেচ্ছাসেবাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতীয় নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে, মানুষের বিপদে-আপদে এবং সংকটকালীন সময়ে ছাত্র-শিক্ষক, তরুণ-তরুণী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা তাদের কাজের স্বীকৃতি সেভাবে পাচ্ছেন না।
স্বেচ্ছাসেবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই টেকনিক্যাল কমিটির অধীনে কয়েকটি সাব-কমিটি থাকবে।
আরো জানান, এই জাতীয় নীতিমালার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম জোরদার হবে। উন্নয়ন ধারা এগিয়ে নিতে এবং এসডিজি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, টেকনিক্যাল কমিটির অধীনে থাকা সাব-কমিটি সারাবিশ্বের সাথে তুলনা করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে স্বেচ্ছাসেবাকে কিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যায় তা নির্ধারণ করবেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই জাতীয় নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মো. তাজুল ইসলাম।