বিশ্বে অনেক দেশের জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের মতো জাতির পিতাসহ তার পরিবারকে হত্যার মতো পৈশাচিক ঘটনা ঘটেনি। এর ফলে সামাজিক অবক্ষয় ঘটেছে। মেধা মননের বিকাশ ঘটেনি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটি হত্যাকাণ্ড একটি দেশ ও জাতিকে পিছিয়ে দিতে পারে, যেমনটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হয়েছে। হত্যাকারীরা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে দেশে লুটেরা দুর্নীতির ধারা সৃষ্টি করেছিল, সেখান থেকে এখনও বেড়িয়ে আসা যায়নি।
শনিবার ঢাকার মতিঝিলের বিআইডব্লিউটিএ ভবনের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জিয়া ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের খুনি এবং খুনিদের মদদদাতা। জিয়া ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেন, তখনই প্রমাণিত হয় জিয়া ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
লেখক, গবেষক ও রিভারাইন পিপলসের মহাসচিব শেখ রোকন বঙ্গবন্ধুর নদী-দর্শন ও এশীয় শতাব্দীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্টিমার যাত্রা শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিআইডব্লিউটিসি গ্রন্থটির প্রকাশনা করে।
প্রতিমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা সদরঘাটে নৌশ্রমিকদের মাঝে বিশেষ খাবার বিতরণ করেন।