ষোল বছর আগে হবিগঞ্জ সদরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সিরাজুল হকের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ।
এদিকে ২০ বছর আগে নড়াইলে স্ত্রী ও শিশু মেয়েকে হত্যার দায়ে শাহান শাহ নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কামিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আর শাহান শাহের মা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলেয়া বেগমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ পৃথক দুটি জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে এ রায় দেন।
দুটি মামলায়ই আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
স্ত্রী সাহিদা আক্তারকে ২০০৪ সালের ৭ মার্চ হত্যার অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলায় সাহিদার প্রবাস ফেরত স্বামী সিরাজুল ইসলামকে ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলায় বিচার শেষে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে সিরাজুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামি হাইকোর্টে আপিল করলে হাইকোর্ট ২০১২ সালের পহেলা আগস্ট এক রায়ে নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রাখেন।
এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
নড়াইল সদরে ২০০০ সালের ১৪ জুলাই গামছা বাঁধা অবস্থায় পুকুর থেকে মুসলিমা খাতুন ও তার দুইবছরের মেয়ে কেয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে অপমৃত্যুর অভিযোগ দাখিল করে। পরবর্তীতে মুসলিমার পিতা বাদী হয়ে মুসলিমার স্বামী শাহান শাহ টিপু সিকদার, টিপু সিকদারের মা আলেয়া বেগম ও দুই বোন তানজিনা ও রুমাকে আসামি করে মামলা করেন।
এ মামলায় নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০০৭ সালের ১৩ এপ্রিল এক রায়ে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০১১ সালের ১৯ জুন এক রায়ে শাহান শাহ ও তার মা আলেয়া বেগমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
আর তানজিনা ও রুমাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড, বিশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শাহান শাহ ও তার মা। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আলেয়া বেগমকে খালাস দেন। তবে শাহান শাহ’র মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।